অনুভবের উতরাই ছাড়িয়ে একই অতল সমতলে দাঁড়ানো! অসম্ভব এক সম্ভব!
তবুও দাঁড়াই ইতিউতি করি অন্ধের ঘোলা চোখে।
অন্ধ, দ্বার খোলো যেতে দাও মহা-সমুদ্দুরে,
গনগনে জ্বলন্ত সূর্যের নীচে হৈচৈ হীন তপ্ত সৈকতে
ডরাই ভীষণ আগুনে দগ্ধতায়, বন-মোষ তাড়ানো নেই এখানে;
এতো এতো পানীয় জল, তবুও শূন্যতায় পানপাত্র,
মানি নি মানি না মৌনী প্রলোভন নিরুদ্ধ স্বকালের স্বরূপে।
ভাবতে পারিনা সন্তের অনুভব নিয়ে,
দূরগামী অনুষ্টুপ সমুদ্র-জাহাজের মাস্তুলে বাসা বাঁধা পাখি দেখার অপেক্ষা!
এই ভাবনার অনুভব নিয়ে ভাবি না, চুমকি মালার বন্দিত্বের অনুভব নিয়ে ভাবি না,
প্রমোদ কামরায় প্রমোদের হিসাব নেই অনুভবের আয়নায়,
শূন্য কালো অন্যদন্ত পাতালের অনুভব নিয়ে পুণ্যের পূর্ণতার পুনরুত্থান চাই না,
অদম্য উদ্যমের অনিঃশেষ সঞ্চয়ের অনুভবে
বিহঙ্গের ডানার অনুভবে ভর করে ওই অসীম দিগন্তের একই সমতলে
নিশ্চিন্তে্র নির্ভরতায় ভাসি; নয় খাড়া পাহাড়ের ঢালে,
প্রহেলিকাকে
৩৬টি মন্তব্য
প্রহেলিকা
আমি প্রথম হইছি এবার \|/
ছাইরাছ হেলাল
আমার মত অমানির মান কেউ না কেউ রক্ষা করেই।
প্রহেলিকা
রক্ষা করার জন্যে কিন্তু পরথম হয় নাই, চ্যাম্পিয়ন হইতে আইছি। ট্রফি কোই ?
ছাইরাছ হেলাল
আপনি বরাবরই চ্যাম্পিয়ন। ট্রফিতো সবই আপনার অনুকূলে!
প্রহেলিকা
চোখের ভ্যালিতে তখনও ঘুমেরা দোল খাচ্ছিলো সজোরে
আধপাল্লা দরোজার বাহিরে তবু চলে গেলো দৃষ্টি নামে স্বৈরচারী তীর।
কুয়াশার সাথে তখনো চলছে ধোঁয়ার অযাচিত সঙ্গম, তবুও খুঁজে নিলাম বর্ণে গাঁথা প্রাণের রসদ।
মনে আছে অতল সমতলে দাঁড়ানো অসম্ভব এক সম্ভব তবুও ছুঁটে আসতে হয়; জাহাজের মাস্তুলে বাঁধা পাখি দেখার লোভেই এই পরাজয়।
লাভ ক্ষতির হিসাব কষা আজ নাহয় পড়ে থাক তপ্ত মরুভূমির প্রেমময় বালুর মরীচিকায়। জিবনের তাগিদে হাসি, শব্দের মায়াজালে বোনা কাঁথা গায়ে জড়াই। ভালবাসার সংজ্ঞা ভুলে উৎসর্গকে টেনে নেই বুক কামরার গহীন থেকে আরও গহীনে।
পুণ্যের পূর্ণতার পুনরুত্থান চাই না বলে আমিও হাঁক দেই। মনে হয় এইতো জীবন, এইতো বেঁচে থাকা চন্দ্রবিন্দুবিহীন।
লেখার কি ছিরিছাঁদ, এভাবে আর কতো নিজের ঝোলায় তুলে নিবেন সব?? কখনো কি আর ভাসাতে পারব না যেমনটা আমরা ভাসি আপনার গাঁথা বর্ণস্রোতে?
ছাইরাছ হেলাল
আসুন, এ লেখা নিয়ে আমরা আরও কথা বলি।
আসলে লেখার মধ্যে আর একটি লেখা লেখার চেষ্টা করেছি, তাও মনমত হয়নি।
‘অনুভবের উতরাই ছাড়িয়ে একই অতল সমতলে দাঁড়ানো! অসম্ভব এক সম্ভব!
তবুও দাঁড়াই ইতিউতি করি অন্ধের ঘোলা চোখে।’
‘অন্ধের ঘোলা চোখে’…………
এই অন্ধত্ব থেকে বাইরে বেড়িয়ে স্বপ্নীল স্বপ্ন জগতে বাঁচতে চায়।
‘অন্ধ, দ্বার খোলো যেতে দাও মহা-সমুদ্দুরে,
গনগনে জ্বলন্ত সূর্যের নীচে হৈচৈ হীন তপ্ত সৈকতে
ডরাই ভীষণ আগুনে দগ্ধতায়, বন-মোষ তাড়ানো নেই এখানে;
এতো এতো পানীয় জল, তবুও শূন্যতায় পানপাত্র,
মানি নি মানি না মৌনী প্রলোভন নিরুদ্ধ স্বকালের স্বরূপে।’
পরের অংশে সে আবার তার পূর্বের অনুভবের বাস্তবতায় ফিরে যায়,
মূল কথা হলো, সবাইকে একই সমতলে আনন্দ ভাবনায় দেখার অনুভব করতে চাওয়া।
ভাল লাগল, আপনার ভাবনার একাত্মতা দেখে,
যা লিখতে চাই তা লিখতে পারলাম কই!
এই আবজাবটি লিখতে তিনদিন লেগে গেল, একদিন মাথায়, দুদিন লিখতে।
ভাগ্যিস কচ্ছপের হাসি বুঝতে পাড়ি না।
প্রহেলিকা
আসমানি ঈশ্বর এবার ঠিক ঠিক মুচকি হেসেছেন, দু’চোখে দু’চশমা দিয়েই।
যে অংশটুকুতে নিজে ডুবে গিয়েছিলাম সেটি তুলে না ধরলে কি হতো না? ইশ্বর হাসালেন !!
সবাইকে নিয়ে সমতলে আনন্দ ভাবনার যে বহিঃপ্রকাশ দেখিয়েছেন তা লেখাকে নিয়ে গিয়েছে সাত পাহাড়ের শিখরে। নিজের লেখাকে, নিজের করে আর রাখতে পারলেন কই?
চুমকি মালার বন্দিত্বের অনুভব নিয়ে ভাবি না,
প্রমোদ কামরায় প্রমোদের হিসাব নেই অনুভবের আয়নায়,
এই দুটো লাইন কিন্তু বাদ দেয়া যাবে না কোনোভাবেই, নিজেকে এভাবে স্বচ্ছভাবে ব্যক্ত করার সৎসাহস কজনের হয় বলুন।
এই দুটো লাইন নিয়ে আরো কিছু শুনতে চাই।
আবজাব কইলেন ??? এ বড়োই দুঃসাহস দেখালেন কিন্তুক!! খবরদার !!!
তিনদিন বৃথা যায়নি কিন্তু, এবার আরো একবার ভেবে বলুনতো সত্যি কি কচ্ছপের হাসি বুঝতে পারেননি?
ছাইরাছ হেলাল
চুমকি মালার বন্দিত্বের অনুভব নিয়ে ভাবি না,
প্রমোদ কামরায় প্রমোদের হিসাব নেই অনুভবের আয়নায়,
এখানে দু’লাইনে বিপরীত ভাবনার অনুভব, চুমকি মালা বলে ক্ষণস্থায়ীত্বের উপস্থাপন
ও পরের লাইনে আনন্দকে আনন্দ দিয়েই অনুভবের ভাবনা।
আপনি একটু বেশিই বলেন!!
তা আপনার লেখা পড়ার অপেক্ষা করছি।
নাসির সারওয়ার
দু জনকেই বলছি, মাফ করে দেয়ার কি কোন সুযোগ আছে!!!
প্রহেলিকা
বাড়িয়ে বললেও যদি বলা কম হয় তাহলে ব্যাপারটা কেমন দাঁড়ায়? জিউসের খাস লোক বলে কথা। চুমকির মালা ক্ষণস্থায়ীত্বকে প্রতিনিধিত্ব করে? এমন ভাবনা মাথায়ও আসেনি, না বললে এটি বুঝতামই না। পারেনও আপনি।
আবজাব আমরা সবাই লিখলেও আপনার মতো করে লিখতে ইচ্ছে করে, ভালো লাগে যে!
নিজে তিনদিনে নামাইলেন, আমার নামাতেতো একটু সময় লাগবেই। তিনদিনই নিবো। এর আগে আবারো আপনাকে নিষেধের হাসিই হাসাবো।
ছাইরাছ হেলাল
জ্বী না, মাফ করার সিস্টেম নেই।
পিঠে ছালা ইউজ করতে পারেন,
ইহা খুবই উঁচা বিষয়, আপনার নাগালের বাইরে!!
প্রহেলিকা
@নাসির সরওয়ার
মহৎ আজ ভুলে গেছে মহত্বের ব্যাকরণ, চারপাশে যা আছে তা কেবলমাত্র অনুনয়ের পশরা। যুগ যুগ কেটে যাবে, তবুও তড়াইয়ে হোঁচট খাবে না এমন সাধুসন্ন্যাসী এ ধরায় মিলবে কোথায় বলুন?
মিষ্টি জিন
কবিতার জবাবে কবিতা আবার কবিতার জবাবে কবিতা.. কোন কবিতায় মন্তব্য করবো বুঝতে পারছিনা ;?
ছাইরাছ হেলাল
দেখুন আমিও কিন্তু না বোঝার দলেই,
অবশ্য মনোবল হারাই না।
ভাল থাকুন কন্যাসান্নিধ্যে,
অনিকেত নন্দিনী
পুরাই বোধগম্যতার বাইরে। ^:^
তয় গোসসা করছি। আমার নাম কোনোদিনই কোনো ল্যাহার শ্যাষে যায় নাই। ;(
ছাইরাছ হেলাল
এত্ত রাতে তো বোধের বাইরে থাকার কথা।
গোসসা নিবৃত্ত করণ প্রকল্পের আওতায় লেখা প্রস্তুত।
আপনাকে তো পাচ্ছিই না,
তাই বিলম্বের দায় আপনারই,
কোটি ব্যস্ততার মধ্যে আমাদের জন্য মিনিট দশেক বরাদ্দ রাখুন, জনাব।
অনিকেত নন্দিনী
হয়। আগে যে ল্যাহেন্নাই হেয়া ত আর কইবেন্না। দোষ সব আমার ঘাড়ে চাপাইয়া দিয়াই খালাস হইবেন। হাজার হোক লঞ্চের সুকানির এসিস্ট্যান্ট বইল্ল্যা কথা, বুঝিনা বুঝি কিছু?
ছাইরাছ হেলাল
কিছু বুঝছেন তাতেই তো অবস্থা কাহিল।
এহন কত কী কইবেন,
এহন যা লিখছি তা কখন দিব তাই বলেন।
ভরা হাটে হাড়ী আস্ত রাখাই বেহেতের।
জিসান শা ইকরাম
পড়তে পড়তে পড়তে মহা-সমুদ্দুরে ডুইব্যাই গেলাম,
এই ছিল আপনার মনে !!!
ছাইরাছ হেলাল
আপনার সাহস তো কম নয় সমুদ্দুরের কাছে এসেছেন!
লাইফ জ্যাকেট ছাড়া।
এবারে কেউ আর মারতে(বাঁচাতে) পারবে না।
অবশ্য প্রহেলিকার সাহায্য নেয়া যেতেই পারে।
জিসান শা ইকরাম
সমুদ্দুররে ভাল পাই
ডুবে মরতেও সমস্যা নাই 🙂
ছাইরাছ হেলাল
আপনিও শেষ কালে কুবি হই গেলেন!!
তাহলে আর কেউ বাঁচাতে পারবে না।
শুন্য শুন্যালয়
অনুভবের লগে আবার কিয়ের কী পাঙ্গা? তার লগে এক সমতলে দাঁড়ানো, অসম্ভব! কবির মাথার জ্যাম, এইখানে আইসা খোলে ক্যান? যাক বাবা, উৎসর্গ দেইখ্যা শান্তি পাইলাম। সব প্যাঁচ খোলার পরে মন্তব্য পরে আইসা পড়ুম নে, যদি কিছু ঠাওর করতে পারি। অনুভব শেষ পর্যন্ত অই খাড়া পাহাড়ের ঢালেই না ছাইড়া দেয়, একটু সামলিয়ে।
ছাইরাছ হেলাল
আপনি ই শুধু ধরতে পারলেন, তাই ই রক্ষা,
আবার এলেই ঠাওর হবে আমি নিশ্চিত।
পাহাড়ে খুব ভয়, আপনি সেটাই মনে করিয়ে দিচ্ছেন কেন!!
যা দেখে শান্তি পান, পেলেই হলো।
কিছু প্যাঁচ আপনি খুলে দিলে আমরা একটু পড়ে শান্তি পাইতাম।
মোঃ মজিবর রহমান
কই জামু ঘেলু কই হারাইছে
সমুদ্রে ঝাপ পুকুরে ডুব
কেমনে বুঝবু এই ভাষা তই
তপ্ত বালুতে শীত লাগে কেমনে?
ছাইরাছ হেলাল
ঝাঁপাঝাঁপি কাঁপাকাঁপি চলবে, শীত গ্রীষ্ম বুঝি না।
মোঃ মজিবর রহমান
চলতে দিন মন ভাল হয়ে যাবে।
ছাইরাছ হেলাল
আচ্ছা, চলুক।
নাসির সারওয়ার
এতো এতো পানীয় জল, তবুও শূন্যতায় পানপাত্র
আসেন আমাদের বাগানে, পানপাত্র ভরে দেবো। কি যে লেখেন এসব!!
থাক, সব লেখা সবার জন্য নয়, ইহাই সত্য।
ছাইরাছ হেলাল
জানিতো ডেকে নিতে টাকাটাকি করবেন,
পাত্র থাকবে,পান হবে উধাও।
আসল সত্য বুঝে পেলেছেন, সব কিছু সবার জন্য নহে।
নীলাঞ্জনা নীলা
মন্তব্য করতে এসে মহাসমুদ্রে তো ডুবে যাচ্ছি। কে, কোথায় আছেন, কোনো মহানুভব আমায় বাঁচান। উদ্ধার করুন শব্দবাণের সুনামি থেকে। অনুভব এতো কঠিন হয় কি করে? হে ভগবান এমন অনুভব আমার নেই কেনু? আমি লিখবো আর সবাই একেবারে বাঁচাও, বাঁচাও বলে চিৎকার করবে!
বোধগম্যতার বাধা সরিয়ে কোন দূর্গম পথে যাচ্ছেন কবি রাজ ছাইরাছ হেলাল আমাদের আরেক মহান সাহিত্যিক প্রহেলিকাকে? দুজনের লেখাকেই বড়ো ডরাই। তারপরেও নিজেকে বলি “পরাজয়ে নাহি ডরে বীর।” 😀
ছাইরাছ হেলাল
কেউ আপনাকে বাঁচাতে পারবে না, মু হা হা,
দেখুন কবিরাজ না হলে এ সব তেতো কচু-ঘেচু কে আপনাদের খাওয়াবে।
আপনি আবার বীর হলেন কবে!!
নকল দাঁত খুলে যাবে, নো হি হি।
অনুভবের কাম-কাইজ নাই বুঝি!! আপনার কাছে যাবে।
কবিতা কৈ?
ইলিয়াস মাসুদ
বোধ বুদ্ধি শুন্যে,নিরক্ষরের আক্ষর দেখা অন্ধের চিত্রকর্ম দেখার মত
মন্তব্য করতে এসে পুরো টাস্কি……… ^:^
ছাইরাছ হেলাল
আমিও এ লেখা পড়ে টাস্কিত প্রবল ভাবে।
হাতি যারা দেখে তারা তা দেখেই, আপনিও দেখবেনই।
মনির হোসেন মমি(মা মাটি দেশ)
শুরু থেকেই গুরুর অনেক লেখাই বুঝতে পারি না এটাও সেটা শুধু মন্তব্য পড়ে জবাব দেই।
ছাইরাছ হেলাল
আমিও কিন্তু সব কিছু বুঝি না,
কষ্ট করে পড়েন এটাই অনেক,ভাই।