সেদিন বিষাদ ছুঁয়েছিলো একফালি রোদ।
আদুরে মেঘ বড়শী নিয়ে নেমেছিলো কাদাঘোলা জলে; ভেবেছিলো ধরবে তারামাছ, সাথে ছিলো বকধার্মিক বিজলী। তারামাছের ঠোকর দিলে বিজলী সাঁই করে সূর্যহাঁড়ি এগিয়ে দিতেই; বড়শিতে উঠে আসতো বাতাসী পাদুকা জোড়া!বিজলী শুধায়- তারামাছ বুঝি বাতাসী পাদুকাতেই এতো ছটফটে! তাই বুঝি পাকড়াও হয় না?
ভাগ্যবতী দূর হতে হেসে উঠে; বলে- মেঘের গায়ে আকাশী চাদর দিয়ে দে, নচেৎ তারা ফসকাবে বারে বারে মানুষের কপালে! বলি, মানুষ চিনিস তো নাকি! ঐ যে, কপালে হাত দিয়ে বলে ‘এ আমার কম্মো নয়/কপালে নেই তাই হলোনি’/দু’চ্ছাই, কিসব ছাইপাশ’! চিনলি তো?
বিজলী হাসে, মেঘ লাজে।
আগত সময় জানান দেয়- ওহে, করছো কি! মানুষ যদি না ঘামে কপালে তবে মাটি ভিজিয়ে সোনা ফলাবে কিসে? আকাশে মেঘ যদি বিজলীকে সাথে নিয়ে নাচে তবে তারা আসবে কি নাইতে? বলি, ঐ যে দেখো মানুষ! ঘামের ভাঁজ ফেলে রজনীতে তারা গুনে, দিবালোকে সূর্য পিঠে করে চলে তোমাদেরই অন্বেষণে; কপালে হাত রেখে সেই যে তাকায় উদয়াস্ত তোমাদের পানে! ভাগ্য তুমি রবে কি না সবে মানুষের কপালে! সোনা ফলায় কাদাজল সেঁচে রোদের ঝিলিকে; গোধূলীবেলায় বাতাসী আলেয়ানে! জাগে সমুদ্র; নীলের ঢেউ, ন্যাড়া পাহাড়; সবুজ সই। তবুতো মানুষ থাকে চেয়ে আকাশের পানে তোমাদেরই খামখেয়ালীপনা নীরবে সহে, মানুষ ডাকে কপালের ঘামে, তারাদের খোঁজে আকাশের পানে; মেঘের ঘর্ষণে বিজলীর চমকে ভাগ্য এলে সময়ের বর্ষণে!
১৪টি মন্তব্য
স্বপ্ন নীলা
Very nice
নীতেশ বড়ুয়া
থ্যাংকিয়ু 🙂
জিসান শা ইকরাম
ইহাকে গদ্য কবিতা বলে 🙂
নীতেশ বড়ুয়া
ইহা গদ্য কবিতা লেখনীর ক্ষুদ্র চেষ্টা বলে জিসান ভাইয়া ^_^
নীলাঞ্জনা নীলা
অন্যরকম ছন্দ। বিশ্লেষণধর্মী কবিতায় ছন্দপতন হতে দেখেছি, এখানে তো ভাবের ছন্দ এবং আক্ষরিক ছন্দও আছে!
এমন কবিতা পড়লে ভাবতে হয়, অনেকক্ষণ রেশ থাকে। (y)
নীতেশ বড়ুয়া
আমি ছন্দ তেমন বুঝি না বলতে পারি না। তাই ছন্দে লিখতে গেলেই থমকে যাই শব্দশুণ্যতায়। তাল মাত্রা এইসবের ধারেকাছে পৌঁছুতে পারিনি বুঝিনি বলেই। আপনার মন্তব্যে ‘ভাবের ছন্দ’, ‘আক্ষরিক ছন্দ’য়ের উল্লেখ দেখে ভড়কে গেলাম… :p
শুন্য শুন্যালয়
একস্ট্রা অর্ডিনারি লেখা নীতেশ দা। আকাশপানে চেয়ে ভাগ্যদেবীর জন্য যেই সময়টুকু আমরা হারিয়ে দিই, তা যদি ঘেমে গিয়ে কাজে লাগাতাম।
ভাগ্যবতী দূর হতে হেসে উঠে; বলে- মেঘের গায়ে আকাশী চাদর দিয়ে দে, নচেৎ তারা ফসকাবে বারে বারে মানুষের কপালে! উপরের অংশটুকু কতবার পড়লাম ঠিক নেই। এই লাইনটার জন্য আপনাকে এক গুচ্ছ তারা দিচ্ছি। আকাশ, বাতাস যা খুশি চাদরে পারুন আঁটকান যাতে ফসকে না যায়।
নীতেশ বড়ুয়া
বিজ্ঞান বলে শুন্যের কোন নিজস্বতা নেই কিন্তু শুন্য হতেই শুরু আবার শুন্যের জন্যেই বাকি সবকিছুর মান…
আপনার মন্তব্য পড়ে বলতেই হচ্ছে-
এই পোস্টের মান আপনার কারণেই।
ঠিক জায়গায় শুন্য এলে সব কিহচুরই মান বাড়ে আর অস্তিত্ব প্রকাশ পায় ঠিক তেমনি শুন্যাপু ঠিক লাইন নিয়েই পুরো লিখাকে ধরে নিলেন 😀 -{@ (3
লীলাবতী
ভাগ্যবতী শব্দের দিকে চোখ আঁটকে গেলো।ভেবেছি লীলাবতী লিখলেন :p এতদিন পরপর পোষ্ট দিলে চলে ভাইয়া?
নীতেশ বড়ুয়া
“ভাগ্যের লীলা বোঝা বড় দায়” তাই ‘ভাগ্যবতী’ মানেই হচ্ছে ‘লীলাবতী’
আমি তো আপনাদের মতো পড়ুয়া নই, লেখনী শক্তিও নেই তাই হঠাত হঠাত… ^_^
মেহেরী তাজ
এতোদিন পরে পোষ্ট দিলে চলে ভাইয়া? লীলাবতী আপু বলেছেন। :p
ভাইয়া আরো কয়েকবার পড়তে হবে। 🙂
নীতেশ বড়ুয়া
তাজ শোভা পায় ললাটে আর ললাট মানে কপাল যা এই পোস্টেই আছে… :p মানে কি হলো তবে? ভাগ্যবতী তথা লীলাবতী মানবের ললাটে তাজ হয়ে আছে সবখানে 😀 -{@
সাঞ্জনা চৌধুরী জুঁথী
সেদিন এক ফালি সুখ ছুঁয়ে ছিল বুকের ভাঁজে।তার ছায়া মুখ লুকিয়ে অনুভব করেছিলাম সে সুখ। অনমনে কেটে যায় কতটা সময় জানিনা। পাঁজর ঘেঁসে পড়ন্ত বিকাল হেঁটে গেলে বুঝি কতটা সময় কেটেছে সুখে। সুর্য্যের শেষ আলো আকাশের নীলে মিশে গেলেই,নিশিরাত বাঁকা চাঁদের আদর মাখা হাত ছুঁয়ে দেয় ললাটে।
ভাগ্যবতী দূর হতে হেসে বলে,রাতের গায়ে বড়শি দিয়ে তাঁরা টাঙ্গিয়ে দে। নইলে, ছিঁড়ে পড়া তারাঁ দেখলে নারী তার নর সঙ্গীকে প্রার্থনা করবে।বুকের কাছে নির্জনতার রাজপথ ধরে প্রতিক্ষার জল ফেলবে দু’ফোটা। এরা মানব-মানবী,এবার চিনলি তো তাদের?
চাঁদ হেসে জ্যোৎস্না বেয়ে নামে উঠোনে। ঠোঁটের ভাঁজে সুখ গুঁজে দিয়ে আবার হাসতে শিখায় নারীকে।
এভাবেই মানুষ নামের প্রানীগুলো সুখে দুখে বাঁচে।
আপনার লেখা পঙ্কতিগুলো পুর্ন যৌবনা নারী। মোহনীয়, মায়াবতী। এক নিঃশ্বাসে পড়তে পড়তে ভেবেছি…অনেক দিন থাকবে এর রেশ।
প্রিয়তে রাখলাম -{@ 🙂
ভোরের শিশির
:c
অনেক সুন্দর করে আরো বলেছেন আপনি। আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ ভাবের সাথে মিলিয়েও যাওয়ার জন্য…
কৃতজ্ঞতা। -{@