শিশির কণার বিয়ের কথকথা……২

ছাইরাছ হেলাল ১৩ ডিসেম্বর ২০১৫, রবিবার, ১০:৩৪:২৪পূর্বাহ্ন ভ্রমণ ২৯ মন্তব্য

ফেরি পার হয়ে যথা সময়েই খুলনা পৌঁছুলাম, নিজে হালে রোটারিয়ান, হরিহরটি ঘাগু এ লাইনে। আগেই খবর দেয়া ছিল, উষ্ণ আতিথেয়তায় কাচ্চি খেয়ে ট্রেন স্টেশনে পৌঁছে দিয়ে হাতে যশোরের ট্রেনের টিকেট ধরিয়ে অতিথির আপ্যায়ন শেষ করে সাথী রোটারিয়ান ফিরে গেল, সাবাস রোটারি।
হাল্কা ফটোসেশন, অনুকুল আলো না হওয়ায় বেশি জুত হল না নবিশ ফটোগ্রাফারের এক্ষণে।
তিনটার ট্রেন তিনটায় ছেড়ে দিল কাটায় কাটায়, তা নাহয় ছাড়ল, যশোর পৌঁছুল আবার ও কাটায় কাটায় সাড়ে চারটায়, আজব ঘটনা।
ফুরফুরে ভাব নিয়ে আগে থেকেই ঠিক করে রাখা হোটেলে চেক ইন। অতঃপর প্রক্ষালন শেষে হাল্কা মেজাজে কেমনে কী আজ ও কাল ভেবে রেখে গুলে গপ্পে ওয়ালা চালু।
জিসানের কাছে জানলাম আমাদের কণাজি এর যশোর পৌঁছুতে রাত গভীর হওয়ার সম্ভবনা আছে, বুঝুন অবস্থা, কাল তার গায়ে হলুদ কখন পৌঁছুবে সে ঢাকা থেকে নিজেই বলতে পারছে না, আহারে পরীক্ষা!! তবে সে জানিয়েছে যদি সে রাত দশটার মধ্যে বাসায় পৌঁছুতে পারে তাহলে রাতের খাবার তাদের সাথে খেতে হবে। একটু পরেই সে জানালো সে বাসায় পৌঁছুক বা দেরি করুক রাতের খাবার তাদের বাসায়।
সামান্য দূরে হলেও খারাপ রাস্তার ঝাঁকি খেতে খেতে সামান্য হাতিয়ে পৌঁছে গেলাম ওদের বাসায়।
বেশ ভালো আলোকসজ্জা গলিয়ে গেটে পেরিয়ে ঢোকার মুখে কণার আত্মীয় স্বজন পেলাম, জিসানের নাম সবাই জানে, এই প্রথম সবার সাথে দেখা কিন্তু মনে হল তারা পরমাত্মীয় (হাল্কা টাসকিত)। উপরে গিয়ে বসলাম, পরিচয় পর্ব চলছে, চলছে। ভুতের চমক নিয়ে শিশির কণা হাজির। সে যে এসে পড়েছে এই মাত্রই তা শুনলাম তার মুখেই।
ফুলের শহর যশোর, গায়ে হলুদের স্টেজের ডিজাইন ফুল সমেত যেভাবে করার জন্য বলা হয়েছিল তা হচ্ছিল না, দ্রুত থিংক ট্যাংক আলোচনায় ফুল ও অন্যান্য ডিজাইন পাল্টানো হলেও কোন বিপত্তি ছাড়াই।
একান্নবর্তী পরিবারের ভীষণ মিলন মেলা, পাঁচ তলা বিল্ডিংয়ের কয়েকটি ফ্লাটের ভাড়াটিয়া ফ্লাট ছেড়ে চলে গেছেন, আশেপাশে বাসা ভাড়া নিয়েছেন, শর্ত এমন, বিয়ের সব কিছু শেষ হলে তাতে যত সময়ই লাগুক তারা আবার তাদের ফ্লাটে ফিরে আসবেন, মধু মধু ভাড়াটিয়া মালিক সম্পর্ক।
বুড়োত্বের সুবিধায় অবাধ যাতায়াত গভীর অন্দর মহল থেকে প্রকাণ্ড প্রশস্ত ছাদ। বিয়ের কাজের অনুপুঙ্খ পর্যবেক্ষণ, জাঁক করে বসে না থেকেই গায়ে হলুদ অনুষ্ঠানে অংশ নিয়েছি, পরের দিন।
খ্যাতিমান বিউটিশিয়ানের সুনিপুণতায় এ কাকে দেখছি!! খোল নলচে পাল্টে দিয়েছে সমূলে!!
শুধু বলেছিলাম, ‘ফিরিয়ে দেও আমাদের অকৃত্রিম শিশির কণা কে’।

বেঁচে থাকুক সে তাঁর আহ্লাদী অবিকল আন্তরিকতায়।

শিশির কণার বিয়ের কথকথা……১

শিশির কণার বিয়ের কথকথা……শেষ

0 Shares

২৯টি মন্তব্য

মন্তব্য করুন

মাসের সেরা ব্লগার

লেখকের সর্বশেষ মন্তব্য

ফেইসবুকে সোনেলা ব্লগ