অপরাধীর শাস্তি হোক এটি আমরা সবাই চাই। কিন্তু সেই অপরাধী যদি নিজের কেউ হয়, তবে আমরা তা অপরাধ বলতে চাই না, নিজের লোকের শাস্তি হোক তা চাই না। স্বার্থপরতার চরমে উঠে গেলে যা হয়।
বেগম খালেদা জিয়া অপরাধ করেছেন, শাস্তি হওয়া আইনের শাসনের জন্য ভালো এটি। এরশাদ এর পরে আর একজন সরকার প্রধানকে জেলে যেতে হবে, ভবিষ্যত সরকার প্রধানরাও জেলে যেতে পারেন, এমন একটি মনোভাব তৈরী হোক।

তবে প্রশ্ন হচ্ছে, বেগম খালেদা জিয়ার বিচার রাজনৈতিক কিনা? এতে বিন্দু মাত্র সন্দেহ নেই যে এই বিচার রাজনৈতিক। মাত্র কয়েকদিন আগে জনতা ব্যাংকের লোন কেলেংকারী জানা গেল। ব্যাংকিং সেকটরে হাজার হাজার কোটি টাকা আত্মসাতকারীদের মধ্যে কতজনের বিচার হয়েছে বা হবে? তার তুলনায় বেগম খালেদা জিয়ার আত্মসাত তুচ্ছ।

তারপরেও অপরাধ অপরাধই। অন্যের জন্য কুয়া খুড়লে সে কুয়ায় নিজকেই পড়তে হয়। জিঘাংসার এই রাজনীতির সুচনা করেছিলেন জিয়াউর রহমান। বংগবন্ধু হত্যা, জাতীয় চার নেতাকে হত্যা, হত্যাকারীদের বিদেশে পুনর্বাসন, কর্নেল তাহের হত্যা ( খন্দকার মোশতাক তখন প্রেসিডেন্ট হলেও মুল ক্ষমতা জিয়ারই ছিল), দন্ডপ্রাপ্ত রাজাকারদের মুক্তি, রাজাকারদের পুনর্বাসন, ২০০০+ মুক্তিযোদ্ধা অফিসারকে হত্যা, হ্যা/না ভোটের মাধ্যমে মরা মানুষেরও ভোটে নির্বাচিত হয়ে ক্ষমতায় থাকা, ধর্মকে ক্ষমতায় থাকার জন্য ব্যাবহার করা, এরই ধারাবাহিকতায় বেগম খালেদা জিয়ার আমলে ২১ আগস্টের গ্রেনেড হামলা করে শেখ হাসিনাকে হত্যা করে ক্ষমতা পাকাপোক্ত করার ঘৃনিত চেষ্টা। এসবই রাজনৈতিক দুর্বৃত্তায়ন।

এসব বিবেচনায় বেগম খালেদা জিয়ার ভাগ্য অনেক ভালো যে লীগ ক্ষমতায় থাকা অবস্থায় তাকে গ্রেনেড হামলায় পড়তে হয়নি। তাকে সামান্য বিচারের মুখোমুখি হতে হয়েছে। এটি মেনে নেয়াই ভাল।
যাই হোক, আমাদের প্রিয় বাংলাদেশ ভালো নেই। ভালো থাকুক বাংলাদেশ এ আমাদের সকলের প্রত্যাশা।
জয় বাংলা.....

0 Shares

৮টি মন্তব্য

মন্তব্য করুন

মাসের সেরা ব্লগার

লেখকের সর্বশেষ মন্তব্য

ফেইসবুকে সোনেলা ব্লগ