আসুন আমরা প্রশ্ন ফাঁসকারীকে খুঁজি।
প্রশ্ন বন্টনের পদ্ধতি:
ট্রেজারীতে প্রশ্ন থাকে। ট্রেজারী পর্যন্ত সবাই সততার পরিচয় দিয়েছেন। ট্রেজারীতে প্রশ্ন আসার পুর্বে ফাঁস হলে প্রশ্ন পরীক্ষার অনেক আগেই পাওয়া যেত। এই পর্যন্ত সবাই সন্দেহের বাইরে।
ট্রেজারার, একজন ম্যাজিস্ট্রেট, কেন্দ্র সুপারের উপস্থিতিথে ভল্ট খুলে প্রশ্নের প্যাকেট সিল গালা অবস্থায় কেন্দ্রের হল সুপারের নিকট বুঝিয়ে দেয়া হয়। হল সুপার, ডিসি/ টিএনও অফিসের একজন প্রতিনিধি এবং দুইজন পুলিশ এই প্যাকেট নিয়ে পরীক্ষা শুরুর ১ ঘন্টা পুর্বে পরীক্ষা কেন্দ্রের উদ্দেশ্যে রওয়ানা হন। ট্রেজারী এবং পরীক্ষা কেন্দ্রের দুরত্ব যদি বেশি হয়, তবে দরখাস্ত করে আরো আগে প্রশ্ন পত্র সংগ্রহ করা যায়। সাধারনত ধরে নেয়া হয় যে ৯:৩০ মিনিটে সব প্রশ্ন পরীক্ষা কেন্দ্রে যাবে।
পরীক্ষা কেন্দ্রে প্রশ্ন আসার পরে সিলগালা খুলে হলের শিক্ষকদের কাছে বুঝিয়ে দেয়া হয়। পরীক্ষার হলে প্রশ্ন যায় পরীক্ষা শুরুর ১০- ১৫ মিনিট পুর্বে।
বিশ্লেষন:
১. হলের শিক্ষকগন প্রশ্নপত্র ফাঁস করেন নি, কারন তারা প্রশ্ন পান পরীক্ষা শুরুর ১০-১৫ মিনিট আগে। প্রশ্ন ফাঁস হচ্ছে ৩০ মিনিট থেকে একঘন্টা পুর্বে।
২. যদি ৩০ মিনিট পুর্বে ফাঁস হয় তবে হল সুপার, প্রধান শিক্ষকের মাধ্যমে ফাঁস হয়।
৩. যদি একঘন্টা পুর্বে ফাঁস হয় তবে এর সাথে জড়িত ডিসি/টিএনও প্রতিনিধি, হল সুপার, দুইজন পুলিশ এবং প্রধান শিক্ষক। এই পাঁচ জন একমত হলে পথেই প্যাকেট খোলা সম্ভব এবং মোবাইলে ছবি তুলে তা বাইরে পাঠান সম্ভব। এখানে জড়িত ৫ জন। সারাদেশে এসএসসি পরীক্ষার মোট কেন্দ্র ৩৪১২ টি, মোট সন্দেহের তালিকায় ১৭০৬০ জন। ট্রেজারী থেকেও এটি হতে পারে।
ট্রেজারী থেকে কেন্দ্র পর্যন্ত জড়িত ৭ জন। সেক্ষেত্রে সন্দেহের তালিকায় ২৩৮৮৪ জন। সম্ভব এর মধ্যে খুঁজে পাওয়া আসল প্রশ্ন ফাঁসকারীকে?
এর চেয়ে ভালো বিকল্প ব্যবস্থা কি হতে পারে?
৫টি মন্তব্য
ইঞ্জা
এর বিকল্প আরেকটা হতে পারে হয়ত, আর তা হলো প্রশ্ন কর্তা, এখন কথা হলো শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে কারা আছেন, তাদের মাথায় কি আছে, ব্রেইন নাকি গোবর, অবস্থা দৃষ্টে মনে হচ্ছে গোবরই হবে।
মোঃ মজিবর রহমান
ডান্ডা বেড়ী যেখানে প্রশ্ন আঊট হয়েছে সেখানে আঘাত হানতে হবে। চাকরী উইথ জরিমানা দুইটা যাবে সঙ্গে জেল।
আমার মতে শাস্তির বিকল্প নায় সাময়িক বরখাস্ত দিয়ে আমাদের মানবিক মুল্যবোধ আসবেনা। কারণ বিটিভি তে অনেক নাটক মানবিক মূল্যবোধ জাগানোর জন্য কিন্তু বাস্তবে কোন কাজে আসছে না। তাই ফিল্ডে শাস্তি অতীব গুরুত্বপূর্ণ। অর অপরাধী যাতে কোন অবৈধ্য ক্ষমতার সুযোগ নিয়ে জামিন বা মুক্তি পায় সেটা দরকার।
কারণ আমাদের মুল্যবোধ জাগাতেও শাস্তি লাগবে, এই জন্য যে অনেক বাবা নিজে দাঁড়িয়ে থেকে সন্তান কে নকল সাপ্লায় এবং লিখতে সাহায্য করে।
আমি আপনার লেখাটি পড়েছি কয়েকদিন কিন্তু মন মত উত্তর করতে আমি অপারগ ছিলাম । হয়ত এখন আপনার পছন্দ নাও হতে পারে।
-{@
নিতাই বাবু
এতকিছুর পরও এই প্রশ্ন ফাঁসকারী চক্র ধরাছোঁয়ারর বাইরে। এটা কিছুতেই মেনে নেওয়া যায় না। সরকার ইচ্ছে করলে কী না করতে পারে? সবই পারে। কিন্তু কিছুই হচ্ছে না। ফল হচ্ছে তার উল্টো।
মোঃ মজিবর রহমান
হ্যা প্রশ্ন ট্রেজারি থেকে যখন বা সিলগালা খোলার পর যে ব্যাক্তিদ্বয় গ্রহন করিবে তাদের মোবাইল পরীক্ষা শেষ অব্দি বন্ধ থাকার ব্যাবস্থা করা যেতে পারে।
মনির হোসেন মমি(মা মাটি দেশ)
চলছেতো চলছেই যেন সৌগরবে চলছে প্র্রশ্ন ফাসঁ।আপনার আইডিয়াগুলো সঠিক।তবে এখানে সৎ অসৎতের বিষয়ও আছে।এএ ক্ষেেত্রে নিয়োগ প্রাপ্ত সকল ব্যাক্তিই হতে হবে সৎ নতুবা মুখস্ত বিদ্যায়ও পারদর্শি অনেকে। -{@