পর্দাপুশিদার নিয়ম মেনে
নক্ষত্র এবার ঘুমোবার কথা ভাবছে, ভাবছে,
বদ্ধ-দুয়ারের নির্লজ্জতা এ-পাশ-ও-পাশ করে
অভাবিনীর সংসারে, সমূহ ঝড়ের পূর্বাভাসে!!
রক্তচক্ষুর নতজানুতা আর নয়, আজন্ম অনিবার্য
খরা-বৈষম্যের এই নিরন্ন দেশে;
কিন্তু একি!!
উষ্ণ হচ্ছে ধমনী একটু-একটু করে, প্রকারন্তরে,
সোনালী নকশা-আঁকা বাহারি-আকাশ, ইশারা করে,
হাতছানি দেয়, ডাকে;
হৃদস্পন্দন দ্রুততায় দ্রুততর হয়, তড়পায়, তড়পায়,
স্তব্ধতার থাকুমুকু নীরব সমুদ্র জেগে-ওঠে, ভিজে-যায়,
উপছে-পড়ে ভিজতে থাকে, ক্রম-অস্থিরতায়,
অসহ্যের ঘুমহীনতায়;
শোণিতের নিভু আগুন, দাউ হয়ে জ্বলছে,
জ্বলবে-এবার, পুড়বে-না, পোড়াবে, ছাড়খার করে;
সহসা সশব্দ বিজলীর প্রগার আলিঙ্গনে
দিকহারা আনন্দের অযুত মন্থন,
ছুটছে সুঘ্রাণ, তীরে-বেঁধা আনন্দের কাতরানিতে
ইচ্ছুক ঠাণ্ডা-বাতাস হেলে আছে, নিবিড় সকালের
রেশমি গিলাফেরর নীচে।
১৪টি মন্তব্য
নীহারিকা
বুঝি না ^:^
ছাইরাছ হেলাল
আমিও!!
জিসান শা ইকরাম
ব্রেক করা লাগবে নাকি?
তবে চলুক গাড়ি ফুল স্পীডে,
জীবন গতিময়।
ছাইরাছ হেলাল
চলতে চলতে ভোর হয়ে গেছে!!
আর কত!!
নীলাঞ্জনা নীলা
চমৎকার একটি কবিতা লিখেছেন। যতোটুকু বুঝেছি, তাতে বিষণ্ণ হয়েই আছি।
চারদিকে কেবলই শোক-দুঃখ-মৃত্যু-হাহাকার। তীরে বিদ্ধ হয়ে আনন্দ কাতরাচ্ছে। কী দারুণ কবিতা!
আচ্ছা সিরিয়াসলি বলুন তো আপনার কবিতা বুঝতে পেরেছি? নাকি না? উত্তরটা দেবেন কিন্তু কুবিরাজ ভাই।
ছাইরাছ হেলাল
হুম বুঝেছেন, সব মনে হয় না,
তীর বিদ্ধ হতে চাওয়ার আকুতি থেকে সত্যি যদি তীর পেয়ে-ই যায়,
তাতে আনন্দিত হওয়ার কথা।
নীলাঞ্জনা নীলা
আমি যদি সব বুঝতাম, তাহলে তো হতোই! 😀
ছাইরাছ হেলাল
যেটুকু বুঝছেন তাও কম না!!
সব বোঝার দরকারটা কী!!
অপ্সরা
অনেক ভালো লাগা ভাইয়া।
ছাইরাছ হেলাল
ধন্যবাদ।
ইঞ্জা
মাথার উফ্রে দিইয়া ভোঁ কইরা গেছে ভাইজান, কিছুই বুঝবার ফারি নাই। ;(
ছাইরাছ হেলাল
তাও ভাল উপ্রে দিয়ে গেছে, বাইচ্ছা গেলেন,
মাথায় বারি লাগলে কিন্তু খবর আছে, ভাই।
ইঞ্জা
ধপাস করে পড়ার ইমো থাকলে তাই দিতাম এখন ভাইজান, কয়েকবার পড়ে দেখে এখন বলছি, খুব ভালো লিখেছেন। -{@
ছাইরাছ হেলাল
উহ্ ধপাস করে পড়লে হপে না, একটু রয়ে-সয়ে, ভাই।