আম্মা

ইঞ্জা ১১ ফেব্রুয়ারি ২০১৮, রবিবার, ০৯:৫১:৪১অপরাহ্ন একান্ত অনুভূতি ৬ মন্তব্য

ডানের প্রথম জন আমার আম্মা।

 

আমার মা, উনাকে আম্মা বলেই ডাকতাম, উনি আমাদের ছেড়ে চলে গেছেন গত বছর নবেম্বরে, এরপর থেকেই মন আমার লেখালেখি থেকে প্রায় উঠেই গেছে বলতে গেলে, আজ ভাবলাম আবার শুরু করা উচিত আর তাই আজ লিখছি আমার আম্মাকে নিয়ে।

আমার আম্মার জম্ম চট্টগ্রামের বিখ্যাত খান পরিবারে, উনি ততকালিন মেট্রিক পাশ, আমি জীবনে অনেক মহিলাকে দেখেছি কিন্তু উনার মতো নরম মানুষ আমি খুব কমই দেখেছি, উনি আমাকে বা আমার ভাইবোনদের কখনো মারধর করেছেন কিনা আমার জানা নেই, উল্টো আমরা যদি কোন দুষ্টামি বা অন্যায় করতাম, তখন আম্মা রাগে দুঃক্ষে কাঁদতে দেখতাম।
আম্মা খুব ভালো রান্না করতেন যা আত্মীয়, অনাত্মীয়, বন্ধু মহলে খুব সমাদৃত ছিলো আর উনার একনিষ্ঠ রান্নার ছাত্রী হলো আমার স্ত্রী, এছাড়া আমার ভাইদের বউ, আমরা বোনরা কেউ এই গুণ পায়নি বা কেউ উদ্যোগী হয়ে শিখেনি।
আম্মার পোলাউ এর ঘ্রাণ আমি অনেক দূর থেকে পেতাম, আম্মার পোলাউ এর আরেকটি বিশেষত্ব হলো এইটা লাল আর হলুদ রঙের মিশেল হতো, খেতেও সুস্বাদু আর এই কারণে আমাদের পরিবারের প্রতিটি মেয়ে ও বউয়ের পোলাউ হয় রঙ্গিন।

আমার আম্মা প্রচুর দেশ বিদেশ ঘুরেছেন আমার আব্বার সাথে, ছিলেনও স্টাইলিশ, মজার কথা বলি, কয়েক বছর আগে আম্মা এসেছেন আমার ঢাকার বাসায়, পরদিন আমার ছেলেকে নিয়ে চলে গেলেন বিউটি পার্লারে, আমার ছেলে পার্লারের বাইরে দাঁড়িয়ে অপেক্ষা করছে, ইতিমধ্যে ওর এক বন্ধু ওকে দেখে এগিয়ে এসে জিজ্ঞেস করলো, "কিরে তুই এইখানে কি করছিস, কে আসছে ভিতরে, তোর আম্মু"?
ছেলেও আমার বড়ই দুষ্টু, হেসে বললো, " নারে আমার দাদী এসেছেন চট্টগ্রাম থেকে, উনি এসেছেন"।
ছেলের বন্ধু এমন হা করলো যেন তার নিচের মাড়ি মাটিতে ঠেকেছে।

চলবে।

0 Shares

৬টি মন্তব্য

মন্তব্য করুন

মাসের সেরা ব্লগার

লেখকের সর্বশেষ মন্তব্য

ফেইসবুকে সোনেলা ব্লগ